সিভিক ভলেন্টিয়ার এর রহস‍্যজনক মৃত‍্যু নাদনঘাটে : তদন্তে পুলিশ

14th December 2020 8:48 pm বর্ধমান
সিভিক ভলেন্টিয়ার এর রহস‍্যজনক মৃত‍্যু নাদনঘাটে : তদন্তে পুলিশ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কালনা ) :  নাদনঘাট থানার কর্তব্যরত এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানা এলাকায়।মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম সৌমেন বাগ।তার বাড়ি সমুদ্রগড় পঞ্চায়েতের নীচু চম্পাহাটি এলাকায়। সোমবার সকালে নাদনঘাট মোড়ে একটি ব্যাঙ্ক শাখার পিছনের জায়গা থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। কী করে এই ঘটনা ঘটলো তা ভেবে কুলকিনারা করতে পারছেন না পরিবারের লোকেরা।পরিবারের দাবি তাদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে।এই বিষয়ে মৃতের বাবা গোবিন্দ দাস  জানান,‘সকলের সঙ্গেই আমার ছোটো ছেলে ভীষণ আনন্দের মধ্যে থাকে।আমার ছেলে এই ধরনের ঘটনা ঘটাতেই পারে না।ছেলে ডিউটিতে গিয়েছিলো।সকালে বাড়ি ফেরেনি।তারপর আমার বড়ো ছেলেকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে সব জানানো হয়।আমার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে বলেই মনে করছি।এই রহস্যজনক মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবি জানাই।  অন্যদিকে নাদনঘাটে আরো এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।সোমবার সকালে নাদনঘাট থানা এলাকার মাধাইপুর বড় সর্দারপাড়া মোড়ের কাছে রাস্তার ধারের ঝোপ থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয়  ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য  চাঁদপুর হাসপাতালে  পাঠানো হয়।এইদিকে এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আনুমানিক চল্লিশ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির দেহে গভীর ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।তা থেকে তাদের অনুমান ওই ব্যক্তিকে খুন করে কেউ বা কারা ঝোপের মধ্যে ফেলে দিয়ে পালিয়ে গেছে। পুলিশ জানিয়েছে,ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে ।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।স্থানীয় সুত্রে খবর,এদিন সকাল ৬ টা নাগাদ মাধাইতলা গ্রামের এক টোটো চালক টোটো নিয়ে স্টেশনে যাচ্ছিলেন।তিনি মাধাইতলার বড়সর্দারপাড়া মোড়ের কাছে আসতেই  ঝোপের মধ্যে হাফ হাতা গেঞ্জি ও নীল জিন্সের প্যান্ট পড়া ওই ব্যক্তির দেহটি উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন।এই বিষয়ে স্থানীয় প্রধান সুভাষ ঘোষ বলেন,স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় নাদনঘাট থানার পুলিশ।পরে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।পুলিশ ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছে ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।